দৌলতদিয়া ঘাটে ঢাকার পথে মানুষের স্রোত

পিবিএ,রাজবাড়ী: পবিত্র ঈদুল ফিতর শেষে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করায় কয়েক দিন যাবত দৌলতদিয়া ঘাটে মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। যাত্রীদের বয়ে আনা গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে নদীপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ ছোট-বড় মিলে কয়েক শত গাড়ী। যানবাহন ও যাত্রীর চাপ রাতে আরো বাড়তে পারে বলে সম্ভবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা পর্যন্ত ২- ৩ কিলোমিটার জুড়ে সৃষ্টি হয় গাড়ির দীর্ঘ লাইন। তবে ফেরিঘাট অপেক্ষা লঞ্চ পারাপারে যাত্রীদের ভিড় বেশী দেখা যায়।

সরেজমিন দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, নদী পারাপার হতে আসা যানবাহনগুলো ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেয়ে যায়। অপরদিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে দেখা যায় যাত্রীদের ঢল। লঞ্চঘাটের ওভারব্রীজ ও পন্টুনে পা ফেলার জায়গাও ছিল না। এদিকে দুপুরের পর থেকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঘাট এলাকায় গাড়ির সারি সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
দুপুর নাগাদ ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২-৩ কিলোমিটার মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি ছিল। অপরদিকে বাইপাস সড়কেও কিছু গাড়ী নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে আছে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বাড়ছে যানবাহনের চাপ।

বাসযাত্রী পলাশ মোল্লা জানান,এবার ঘাটে তেমন কোন যানজট নেই ।গতবারে যেভাবে দৌলতদিয়া ঘাটে যানজট ছিল ৫ মিনিটের পথ যেতে হতো ৫ ঘন্টায়। এবার সেই সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে না।আমরা ভালো ভাবেই নদী পারাপার হতে পারবো।

দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপার ভাইজার মোহাম্মদ আলী মোল্লা জানান,দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২২ টি লঞ্চ চলাচল করছে।এবার যাত্রীদের কোন ভোগান্তি নেই।তারা আসছে আর নদী পারাপার হয়ে যাচ্ছে।আর লঞ্চ ঘাটে লঞ্চ যদি না থাকে তাহলে আমরা ফেরিতে যাত্রীদের পাঠিয়ে দিতছি যান।

দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটের ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছে। তবে তিনি দাবি করেন এবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক যানবাহন পারাপার করা হয়েছে। যে কারণে সিরিয়াল লম্বা হলেও খুব বেশী সময় ফেরি নাগাল পেতে যানবাহনগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।তাই ঘাটে মানুষের কোন দূর্ভোগ নেই ।

পিবিএ/সিএস/হক

আরও পড়ুন...