বিক্ষোভের মুখে বিএসএমএমইউর চিকিৎসক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত

পিবিএ,ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ ‘আপাতত’ স্থগিত করার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। মঙ্গলবার (১১ জুন) মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলার দ্বিতীয় দিনে তিনি একথা জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিকেল অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া চাকরিপ্রার্থীরা গত প্রায় একমাস ধরে পরীক্ষা বাতিল ও পুনঃনিরীক্ষণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।

এদিন সকাল থেকেই ফের বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনরত চিকিৎসরা। এ সময় পুলিশের বাধা অতিক্রম করেই তারা ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকা ভিসির রুমের সামনে চলে যান। পরে আন্দোলনরতদের কয়েকজন প্রতিনিধি ভিসির সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আলোচনার পর ভিসি তাদের নিয়োগ পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

এ সময় মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানিয়ে বিএসএমএমইউ উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘সিন্ডিকেটের মিটিংয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ভবিষ্যতে কী করবো।’

চলতি বছরের ২০ মার্চ বিএসএমএমইউতে ২০০ চিকিৎসক নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

লিখিত পরীক্ষায় একটি পদের জন্য চারজন পাস করেন। এ হিসাবে ৭১৯ মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে ৮২০ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

ফল ঘোষণার পর পরই সুযোগবঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গত ২২ মার্চ মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সকালে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শুরু করেন চাকরিপ্রার্থী চিকিৎসকরা।

ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত রোববার সকালে তারা উপাচার্যের অফিসে যেতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মীদের (পুলিশ-আনসার) হামলায় প্রায় ১৫ জন চিকিৎসক আহত হন। এ সময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।

ওই হামলার ঘটনায় দুপুর থেকে ভিসির কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেন মেডিকেল অফিসার পদে চাকরিপ্রার্থী চিকিৎসকরা।

এদিকে চাকরিপ্রার্থী চিকিৎসকদের আন্দোলন চলার মধ্যেই চূড়ান্ত নিয়োগের লক্ষ্যে গতকাল সোমবার থেকে উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া শুরু হয়। কিন্তু তার একদিন পরই আজ নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হলো।

প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বিএসএমএমইউতে ২০০ চিকিৎসক নিয়োগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময় অজ্ঞাত কারণে পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।

এ নিয়ে সেই সময় চাকরিপ্রার্থী চিকিৎসকরা বিক্ষোভ করে তিন প্রোভিসি, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরসহ পদস্থ কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।

পিবিএ/এএইচ

আরও পড়ুন...