ঈদের ৮ম দিনেও হিমশিম খাচ্ছে লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ

পিবিএ,রাজবাড়ী: ঈদের ৮ম দিনেও দেশের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে কর্মস্থলমুখি মানুষের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তে সড়কে আটকা পড়েছে ছোট-বড় কয়েকশ যানবাহন। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনই দুপুরের পর যানবাহনের সারি দৌলতদিয়া প্রান্তে দীর্ঘ হয়।

বুধবার বেলা ১২ টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাট এলাকায় কর্মস্থলমুখি এসব যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া সড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, যাত্রীবাহী বাস এবং কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক দৌলতদিয়া প্রান্তে সিরিয়ালে আটকা পড়েছে। গরমে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সব যানবাহনের যাত্রী ও চালকরা। সময় যত বাড়বে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ততই বাড়বে বলে ধারণা ঘাট কর্তৃপক্ষের।

অপরদিকে ঘাট এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও যানজট নিরসনে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজ করছেন। দৌলতদিয়া প্রান্তে ফেরি পারের অপেক্ষায় বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকারসহ তিন থেকে চারশ যানবাহন সিরিয়ালে রয়েছে। বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট বড় ২০টি ফেরি ও ৩৪টি লঞ্চ চলাচল করছে এবং ৬টি ফেরি ঘাটের ৬টি ঘাটই সচল রয়েছে।

ঢাকামুখি যাত্রী ও চালকরা বলেন, গরমে সিরিয়ালে আটকে থেকে তাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া নদীর পানি হঠাৎ কমে যাওয়ায় ফেরিঘাটগুলো দিয়ে যানবাহন ওঠা নামায় সমস্যা কারণে সময় বেশি লাগায় তারা সড়কে আটকে থাকছেন। ছোট গাড়ি, ভিআইপি গাড়ি এবং এসি বাসগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করায় তাদের মতো নন এসি এবং পণ্যবাহী ট্রাকগুলো সিরিয়ালে আটকে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

বিআইডব্লিউটিসির এজিএম (মেরিন) আব্দুস সোবাহান বলেন, নদীতে পানি কমার কারণে দৌলতদিয়ার ফেরিঘাটগুলোতে যানবাহন ওঠা নামায় ব্যাঘাত ঘটছে। বিআইডব্লিউটিএর সঙ্গে সমন্ময় করে ঘাটগুলো সচল রাখার চেষ্টা করছেন। সমস্যা চিহ্নিত ঘাট লো-ওয়াটারে নিতে বিআইডব্লিউটিএকে বলা হয়েছে এবং নতুন একটি পন্টুল আনা হয়েছে। সেটি ৫নং ঘাটে স্থাপন করা হবে এবং তখন যানবাহন ওঠা নামায় আর সমস্যা হবে না। পাশাপাশি প্রতিটি ঘাটই পানির সঙ্গে সমন্ময় করে স্থাপন করা হবে।

পিবিএ/জেএন/হক

আরও পড়ুন...