লামায় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে পাথর জব্দ

পিবিএ, লামা,বান্দরবান: বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে বান্দরবানের লামা উপজেলায় নির্বিচারে পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। গত বুধবার ও মঙ্গলবার উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর, ইয়াংছা ও কাঁঠালছড়া ত্রিপুরা পাড়ায় এ অভিযান চালানো হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমির নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা, পরিবেশ অধিদপ্তরের বান্দরবান সহকারী পরিচালক এ.কে.এম সামিউল আলম কুরসী ও পরিদর্শক নাজনীন সুলতানা নীপা অংশ গ্রহণ করেন। এতে আইনশৃঙ্খলায় সহযোগিতা করেন, থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফসহ সঙ্গীয় সদস্যরা। অভিযানে অবৈধভাবে মজুদকৃত ৫ লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়।
সূত্র জানায়, গত ৬ মাস ধরে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কাঁঠালছড়া পাড়া, ইয়াংছা, বনপুর, গজালিয়া ইউনিয়নের মিজঝিরি, আকিরাম, গতিরামপাড়াসহ ফাইতং ও সরই ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় ও বাহিরাগত একটি সংঘবদ্ধ চক্র কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই নির্বিচারে পাহাড় ও ঝিরি খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করে আসছে। ওই চক্রটি ইতিমধ্যে ১২ লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। আরও প্রায় ৫ লক্ষ ঘনফুট পাথর উত্তোলন করে পাচারের জন্য মজুদ করে। এ বিষয়ে এলাকার লোকজন প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি। এতদ্বসংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ‘লামায় পাথর উত্তোলনে মহোৎসব’ শীর্ষক শীরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে প্রশাসনের টনক নড়ে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক একেএম সামিউল আলম কুরসী পিবিএ’কে বলেন, গত দুই দিনে সরজমিনে নির্বিচারে পাথর উত্তোলনের চিত্র, পরিবেশের ক্ষতিরমাত্রা ও মজুদকৃত পাথরের স্তুপ পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লক্ষ ঘনফুট পাথর পাচার করেছে ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে ইয়াংছা ও বনপুর অংশে আরো ৫ লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর মজুদ রয়েছে। অভিযানে এসব পাথর জব্দ করা হয়। এছাড়া এ কাজে স্থানীয় ও বহিরাগত ২৫ থেকে ৩০ জন ব্যক্তি জড়িত। এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি পিবিএ’কে বলেন, অবৈধভাবে মজুদকৃত পাথর যেন রাতার আধাঁরে পাচার হয়ে না যায়; সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি।

পিবিএ/এনকে/হক

আরও পড়ুন...