পিবিএ,সিলেট: সুুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব কতৃক পরিষদের রাজস্ব আয়সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি খাতের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জামালগঞ্জ (উওর) ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের এক মহিলা সদস্যসহ ১০ ইউপি সদস্য পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরেুদ্ধে পরিষদের আয়কৃত রাজস্ব, সরকারি সেরকারি বিভিন্ন খাতের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
বুধবার অভিযোগ আমলে নিয়ে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল সহকারি কমিশনার(ভুমি) মোছা. আয়েশা আক্তারকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।,
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, জামালগঞ্জের নবগঠিত জামালগঞ্জ (উওর) ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান হিসাবে রজব আলী ২০১৭ সালের ৫মে পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহন করেন।,
ইউপি সদস্যদের অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবের যৌথ যোগসাজসে পরিষদের দায়িত্ব নেয়ায় পর ২০১৯ সালের মে মাস পর্য্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম মহল্লা হাট বাজারের হোল্ডিং ট্যাক্স, নতুন ট্রেট লাইসেন্স ইস্যু-নবায়ন, খেয়াঘাট ইজারার অর্থ, সরকারি -বেসরকারি বিভিন্ন খাত থেকে পরিষদের আয়- বরাদ্দ প্রাপ্তি সহ পরিষদের রাজস্ব আয়ের কোন হিসাব প্রদান না করে গোপন রাখছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ইউনিয়ন পরিষদের ম্যানুয়্যেল অনুযায়ি জনগণের নিকট থেকে ও বিভিন্ন খাত থেকে আদায়কৃত রাজস্ব ব্যাংকে জমা রাখার বিধান থাকলেও চেয়ারম্যান ও সচিব রাজস্ব আয়ের অর্থ রাখেন নিজেদের থলেতে ।
ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন ওয়ার্ড, গ্রাম মহল্লা,হাট বাজারে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ে কৌশলী চেয়ারম্যান ও সচিব নিজেদের থলে ভারী করতে দু’জন মিলেমিশে প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে বহিরাগত (ইউনিয়নের বাহির থেকে) কালেক্টর নিয়োগ দিয়েছেন।
নিয়োগকৃত কালেক্টরগণ চেয়ারম্যান ও সচিবকে খুশি রাখতে গিয়ে নিজেরাও যেমন সাধারন জনগণের পকেট কাটছেন তেমনি চেয়ারম্যান সচিবের থলিও ভারী করাচ্ছেন।
হোল্ডিং ট্যাক্সের আদায়কৃত টাকার পরিমাণ গ্রাহক কপিতে সঠিকভাবে লিখলেও পরিষদের কার্বন কপিতে নামমাত্র পরিমাণ টাকা আদায়ের কথা উল্ল্যেখ করা হচ্ছে।,
বৃহস্পতিবার জামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ (উওর) ইউনিয়নের ৭-৮-৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য জ্যোৎস্না আক্তার অভিযোগ কওে পবিএকে বলেন, কি আর বলব ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব পরিষদের আয়ের উৎস ও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন খাত থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে দু’হাতে লুটেপুটে নিজেদের থলে ভারী করে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদকে ওই চেয়ারম্যান ও সচিব জনগণের প্রতিষ্টান মনে না করে উল্টো নিজেদের মানে মুদি (ব্যবসা প্রতিষ্ঠান )দোকান হিসাবেই ব্যবহার করছেন, যদি তাই না হয় তবে কেন পরিষদের ্আয়কৃত টাকা সঠিক সময়ে ব্যাংকে জমা রাখা হয়নি আবার কেনই বা আয় ব্যায়ের হিসাব সাধারন জনগণ ও পরিষদের ইউপি সদস্যদের নিকট প্রকাশ না করে গোপন রাখা হচ্ছে?।
বৃহস্পতিবার চামালগঞ্জ উপজেলার জামালগঞ্জ (উওর) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রজব আলী পিবিএকে বলেন, সচিব পরিষদের আয়কৃত কিছু অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা রাখার কথা ছিল কিন্তু কি কারণে ব্যাংকে টাকা জমা রাখেননি তা আমি আপাতত জানিনা।
ইতিপুর্বেও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্রদের সরকারিভাবে খাস জমির উপর বতঘর তৈরীর করে দেয়ার কথা জনপ্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা করে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা হতদর্রিধের নিকট থেকে আগাম হাতিয়ে নেয়ায় ব্যাপারে চেয়ারম্যান রজব আলীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর বিষয়টি ধাচাঁপা দেয়া হয়েছে নানামুখী গুঞ্জন রয়েছে।
পিবিএ/এইচএ/হক