এখনো অশান্ত হংকং

পিবিএ, ডেস্ক: প্রত্যর্পণ বিল পাস না করার দাবিতে বৃহস্পতিবারও হংকংয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষও হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে হংকংয়ের অর্থনৈতিক শহরের কিছু সরকারী অফিস বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভ থামবে না, বরং রোববার প্রত্যর্পণ বিল পাস না করার দাবিতে আরো ব্যাপক জনসমাবেশ হবে। ডয়েচে ভেলে, বিবিসি

এর আগে বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৭৯ জন আহত হয়। এক বিক্ষোভকারীকে বেদম পেটানোর ভিডিও পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এদিকে চীন জানিয়েছে হংকংয়ের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন বজায় থাকবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং এক বিবৃতির মাধ্যমে এ কথা জানান। এ সময় চলমান বিক্ষোভের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূমিকার নিন্দাও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘হংকংয়ের বিষয়টা পুরোপুরি চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কোনো দেশ, সংগঠন বা ব্যক্তির এ বিষয়ে নাক গলানোর অধিকার নেই।’এদিকে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। তিনি বলেছেন, হংকংয়ের পরিকল্পিত প্রত্যার্পণ বিল মানবাধিকার নিয়ে সংশয় জাগিয়েছে। চলমান সংকট নিরসনে হংকং ও চীন নিশ্চয়ই একটা ব্যবস্থা নেবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি এই আন্দোলনের কারণ বুঝতে পারি। তবে আমি নিশ্চিত যে তারা এটার সমাধান করতে পারবে।

হংকংয়ের বেইজিংপন্থী শাসকদের প্রস্তাবিত এই বিলে সন্দেহভাজন অপরাধীকে চীন ও তাইওয়ানে ফেরত পাঠানোর পথ সুগম করা হয়েছে। তবে বেইজিংয়ের দুর্বল আইন এবং মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে সেখানে কাউকে ফেরত পাঠানো নিরাপদ মনে করছেন না হংকংয়ের সাধারণ মানুষ। তারা মনে করছেন, বিলটি পাস হলে তা হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষপের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে। সেখান থেকেই বিক্ষোভে নেমেছে তারা।

হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল অবধি অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটি। ১৫০ বছর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার পর লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই অঞ্চলটি চীনের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। হংকংয়ের জনসংখ্যা প্রায় ৭৪ লাখ হলেও, ১২শ’ জনের একটি বিশেষ কমিটি নেতা বাছাইয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান।

পিবিএ/বা.খ:

আরও পড়ুন...