নাম বেগুন হলেও তাতে কিন্তু গুণের অভাব নেই

পিবিএ ডেস্কঃ বেগুন বাজারে দুপ্রকার দু রঙের পাওয়া যায়। সাদা ও বেগুনী। বেগুনি বা কালো বেগুনের গুণ অনেক বেশী। বেগুন যত কচি হবে তাতে গুণ তত বেশী থাকবে। এ রকম কচি বেগুন খেলে শরীরের বল বৃদ্ধি পাবে।

বৈজ্ঞানিকদের মতেঃ বেগুনে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিন এবং কিছু কিছু লবণ কম বা বেশীমাত্রায় আছে। এতে ভিটামিন এ, বি, সি, ও লোহাও আছে। খাদ্যগুণ ও ভিটামিন বেশী থাকায় এবং দামেও সস্তা হওয়ায় বেগুন নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে।

নাম বেগুন হলে কি হবে? তাতে কিন্তু অনেক গুণ আছে।বেগুন গুণের আরও অনেক ব্যাখ্যা আছে। সংস্কৃতে আছে, বেগুনের আরও নাম আছে। সংস্কৃতে গোল বেগুনকে বলা হয় বৃত্তফলা। যে বেগুনে শাস বেশী থাকে অর্থাৎ পুরুষ্টু বেগুনকে বলা হয় মাংসফলা। বেগুন অনেক দিন ধরে গাছে থাকে বলে বলা হয় সদাফলা। রাত রোগের পক্ষে উপকারী বলে বেগুনের আর একটি নাম বাতিঙ্গা। বেগুন অনিদ্রা রোগ দূর করে এবং বেগুন খেলে ভালো ঘুম হয় বলে এর আর একটি নাম হল নিদ্রালু।

সুস্থ্য থাকতে বেগুন। ১০টি গুণের সমাহার:

১) কচি বেগুন পুড়িয়ে রোজ সকালে খালি পেটে একটু গুড় মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়ার দরুন লিভার বেড়ে যাওয়া কমে যায়।

২) লিভারের দোষের জন্যে যদি চেহারায় হলদেটে ভাব আসে সেটাও ক্রমশ কমে যায়।

৩) যাদের ঘুম ভালো হয় না তারা যদি একটু বেগুন পুড়িয়ে মধু মিশিয়ে সন্ধ্যাবেলা চেটে খান তাহলে তাদের রাত্রে ভালো ঘুম হবে।

৪) বেগুনের তরাকারি, বেগুন পোড়া, বেগুনের স্যুপে, রোজ যদি একটু হিং ও রসুন মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে রায়ুর প্রকোপ কমে।
যদি কারো পেটে বায়ুগোলকের সৃষ্টি হয়ে থাকে সেটাও কমে যায় বা সেরে যায়।

৫) মহিলাদের ঋতু ঠিক মতো না হলে বা কোন কারণে বন্ধ হয়ে গেলে তারা যদি শীতকালে নিয়ম করে বেগুনের তরকারি বাজরার রুটি এবং গুড় খান তাহলে উপকার পাবেন। অবশ্য যাদের শরীরে গরমের ধাত বেশী তাদের পক্ষে এটা না খাওয়াই ভালো।

৬) নিয়মিত বেগুন খেলে মূত্রকৃচ্ছ্রতা সারে।

৭) প্রস্রাব পরিস্কার হওয়ায় প্রারম্ভিকা অবস্থার কিডনির ছোট পাথরও গলে গিয়ে প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে যায়।

৮) মুরগীর ডিমের সাইজের ছোট গোল সাদা বেগুন অশ্বরোগের পক্ষে উপকারী ভূমিকা রাখে।

৯) বেগুনের পুলটিস বাঁধলে ফোঁড়া তারাতাড়ি পেকে যায়।

১০) বেগুনের রস খেলে ধুতুরোর বিষ নেমে যায়।

পিবিএ/এমএস

আরও পড়ুন...