সাংবাদিকরা জাতির বিবেক: নড়াইল পুলিশ সুপার

পিবিএ, নড়াইল: নড়াইলের পুলিশ সুপার এসপি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম (বার) বলেছেন, পুলিশ এবং সাংবাদিক একে অপরের বন্ধুসুলভ মনোভাব নিয়ে কাজ করলে সমাজের অপরাধ দূর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিকরা সত্য উদঘাটনের জন্য। পুলিশ সুপার তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক, সংবাদপত্র সমাজের আয়না। জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানে পুলিশ অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করে যাচ্ছে আর লেখনীর মাধ্যমে সমাজের অন্যায়, অবিচার ও দুর্নীতি তুলে ধরে সমাজকে কলুষমুক্ত করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন সাংবাদিকরা।

বাংলাদেশে বর্তমানে জনগণের সংখ্যা প্রায় ১৮কোটি। নিরাপত্তায় প্রায় দুই লাখ পুলিশ সদস্য। সাংবাদিকদেরও সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়। পুলিশ ও সাংবাদিকরা সবসময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, কেউ যদি কোনো খারাপ মন্তব্য করতে হয় তাহলে আগে নিজেদের অবস্থানের বিষয়ে একবার হলেও ভাববেন এটা কতটুও সত্যতা আছে। অনেকেই বলেন, তুলনামূলক ভাবে রাত দিন ২৪ ঘন্টা খুব কষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশ ও সাংবাদিকরা। কিছু দুষ্টু প্রকৃতির লোক অনেক সসয় পুলিশ ও সাংবাদিকদেরকে নিয়ে এতো খারাপ মন্তব্য করে যে, তা আমাদের মুখে বলতেও লজ্জা লাগে।

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সুনাম নষ্ট করতে এক শ্রেণীর দুষ্টু লোক কৌশলে পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করছে। তদন্ত করে দেখা দরকার যে, এসব দুষ্টু প্রকৃতির লোকগুলো কারা? দেশের পুলিশ প্রশাসন ও মিডিয়া যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাহলে এমন কোনো শক্তি নেই অসম্মানজনক কথা বলবে। পুলিশ বা সাংবাদিক কোনো চোর ডাকাত নয়, যে কেউ তাদেরকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করবে বা গালিগালাজ করবে, এটা আমরা কেউ মেনে নিবো না। আমি বলতে চাই যে, কোন এক যেইহোক না কেন, পুলিশ ও সাংবাদিককে নিয়ে কেউ খারাপ কিছু বলার আগে একাধিকবার চিন্তা করে দেখবেন আপনি কেমন মানুষ? নিজে আগে ভালো হতে হবে, এরপর অন্যদের বিষয়ে মন্তব্য করবেন।

বিশেষ করে ১২ বছর আগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গণমাধ্যম কর্মী অর্থাৎ সাংবাদিক, আর বর্তমান সময়-একরকম নয়। বর্তমানে গোয়েন্দা সংস্থা ও মিডিয়া সংস্থায় যারা কাজ করছেন, তারা সবাই সাহসী ও সততার সাথে কাজ করছেন। তবে হে, যারা দেশ ও জাতির কল্যাণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তাদের সামান্য কিছু ভুল হতেই পারে বলে অনেকেরই অভিমত। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সাংবাদিকরা যদি কেনো দুষ্টু লোকের ভয় পায়, তাহলে তারা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন না।

অনেকেই জানান, বিদেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ অনেকটা শান্তি প্রিয়, বর্তমান সরকার সুনামের সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। আর যারা সরকারী বাহিনী ও বিভিন্ন মিডিয়ায় দায়িত্ব পালন করছেন, তারা ভালো মানুষ বলেই আল্লাহ্ তাদেরকে পছন্দ মতো কাজ দিয়েছেন। যে যাই বলেন, বা মন্তব্য করেন, এতে আমাদের কারো কোনো কিছু যায় আসেনা। আমরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবো এাঁই আমাদের মূলত লক্ষ্যে, কেই খারাপ মন্তব্য করলে, সে যেইহোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না, ওই সকল ব্যক্তি দেশ ও জাতির শক্র। তবে আমাদের মধ্যে কিছু দুষ্টুলোক আছে, যাদের ব্যবহার খারাপ, ভাষাও ভালো না, কার সাথে কেমন ভাষায় কথা বলতে হয় তারা জানেনা।

এর কারণও রয়েছে, কম পড়া লেখা জানা, ব্যক্তিগত ভাবে পরিবারের বড়দের ব্যবহার ও ভাষা দেখে তারা যা শিক্ষা নিয়েছেন এরচেয়ে বেশি তাদের কাছে আশা করা যায় না। এসব দুষ্টু প্রকৃতির ব্যক্তিদের থেকে দুরে থাকবেন সবাই, আর বেশি বাড়লে, দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে কোনো কর্মকান্ড করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
অনুরোধ করছি, সাংবাদিক বা পুলিশ নিয়ে কেউ খারাপ মন্তব্য করবেন না, সবাই কিন্তু খারাপ নয়। এর আগে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ অনেকেই ঘোষণা দিয়েছেন, প্রকৃত সাংবাদিকদের দিকে কেউ খারাপ দৃষ্টিতে তাকালে তাদের চোখ তুলে ফেলা হবে।

পিবিএ/ইউআর/হক

আরও পড়ুন...