পিবিএ ডেস্ক: বেশ কয়েকবছর প্রেম করার পর এবার বিয়ের পরিকল্পনা করেছেন? ভাবছেন বিয়ের পর প্রচুর মজা, যা যা এতদিন লুকিয়ে করতে হত সব এখন বৈধ্য? প্রেম করে বিয়ে মানেই রোম্যান্সে ভরপুর ভুল ভাবনা। প্রেম করার পর বাড়িতে অশান্তি হয়নি এরকম মানুষের সংখ্যা খুব কম। অভিজ্ঞরা কিন্তু একদমই এরকম বলছেন না।
প্রেম করে বিয়ে মানেই রোম্যান্স ভরপুর একথা ভ্রান্তই ধরছেন তাঁরা। যেমন বাবা-মায়ের পছন্দ নয় : প্রেম করার পর বাড়িতে অশান্তি হয়নি এরকম মানুষের সংখ্যা খুব কম। মায়ের ছেলে পছন্দ হয়নি বা ছেলের মায়ের মেয়ে এরকম বহুবার হয়েছে। তবু ছেলে মেয়ের মুখের দিকে চেয়ে তাঁরা মেনে নেন, কিন্তু খিটিমিটি চলতেই থাকে। সেই প্রসঙ্গে পরেও খোঁটা দিতে ভোলেন না।
যুদ্ধ করে বিয়ে : বাড়ির চাপে শেষ পর্যন্ত ভালোবাসা মাথা নত করে না। অনেক লড়াই, অভিমান আর চোখের জল নিয়েও বিয়ে করেন অনেকে। এমনকী পালিয়ে বিয়ে করতেও বাধ্য হন। এর ফলে মানসিক একটা প্রভাব তো পড়েই। সঙ্গে সামাজিকও। ফলে সেই বিয়েতে খুশি থাকে না, বলা যায় নিজের জেদ বজায় থাকে মাত্র।
বিয়ের পরই বরকে ভালো চিনেছি : বয়ফ্রেন্ড আর লিভিং পার্টনারের সঙ্গে স্বামীর ফারাক রয়েছে। যা বিয়ে না হলে টের পাওয়া যায় না। কারণ প্রেমের ক্ষেত্রে কোনও বাধ্য বাধকতা থাকে না। ভাবনা থাকে না। কিন্তু বিয়ের পর ফ্ল্যাট, গাড়ি ই এম আই সবই ভাবতে হয়। একসঙ্গে থাকতে শুরু করলেই তবে একে অপরকে চেনা যায়। অনেকেই যেমন বলেন, বিয়ের আগে বর কোনও দিন বলেনি যে ওর যাবতীয় টাকা মায়ের কাছে থাকে।
পরিবেশের সঙ্গে মানানো : বিয়ের আগে এসে দু একদিন থাকা আর বিয়ের পর ২৪ ঘন্টা একসঙ্গে থাকার ব্যাপারটা আলাদা। একটা মেয়েকে নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষ, সবকিছুই নতুনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়।
আলাদা হয়ে যাওয়া : বেশিরভাগ মেয়েই চান বিয়ের পর আলাদা সংসার পাততে। কিন্তু এতে ছেলের মায়েরা সায় দেয়না। তারা ভাবেন ছেলে বুঝি এবার হাতছাড়া হয়ে গেল। সেই থেকে শুরু আশান্তি। প্রতিদিন মা-বউয়ের ঝগড়ায় পাগল হয়ে যান স্বামী। তারপরই অশান্তি ওঠে চরমে।
কোনও রকম সমস্যা হলে বাড়িতে বলা যাবে না : তুমি নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেছ, সুতরাং কোনও সমস্যা হলে দায় তোমার। আগে বুঝে নাও নি কেন। তাই যারা প্রেম করে বিয়ে করে সেই সব মেয়েরা সব সমস্যায় বাবা-মাকে অভিযোগ জানাতে পারে না।
স্বামীর চেয়ে স্ত্রীয়ের আয় বেশি হলে : প্রাথমিক ভাবে প্রেম করার সময় এটা কোনও সমস্যা নয়। কিন্তু পরবর্তীতে এই নিয়েই সমস্যা হয়। বাড়ির লোকের জন্যই ইগো সমস্যা তৈরি হয়। ছেলেকে এই প্রসঙ্গে বারবার খোঁটা দেওয়া হয়। ভালোবাসা তখন গাছে চড়ে যায়।
আত্মীয় এবং আত্মীয়তা : ধরা যাক আপনাদের প্রেম সম্পর্ক নিয়ে বাড়ির লোকের কোনও মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু আত্মীয়েরা বড্ড বেশি নাক গলান। ঠুকে কথা বলার অভ্যেস রয়েছে। ফলে কোনও গেটটুগেদারে দিয়ে অশান্তিতে পড়তে হল। পরবর্তীতে তাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
পিবিএ/বিএইচ