চট্টগ্রামে ভূয়া ডাক্তার ও ফার্মেসী মালিককে জেল জরিমানা

পিবিএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে বিকিরন বড়–য়া নামে এক ভূয়া এম বিবিএস ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এসময় তাকে ছয় মাসের কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।


এ ছাড়া আয়শা মেডিকেল নামে একটি ফার্মেসিকে মেয়াদেঠত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রির দায়ে মালিক ফরিদুল আলমকে তিনমাসের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পতেঙ্গা সার্কেল এর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয় ।
জানা যায়,কথিত ডাক্তার বিকিরন বড়–য়াকে ধরার জন্য রোগী সেজে সিরিয়াল নেন এক র‌্যাব সদস্য। দক্ষিন পতেঙ্গার বিজয় নগরের আয়েশা মেডিকেলে তার চেম্বারে গিয়ে দেখা যায় বাইরে অসংখ্য রোগীর ভীড়। নিজেকে ডায়বেটিস, মেডিসিন ও শিশু রোগের চিকিৎসক দাবি করা বিকিরনের চেম্বারের বাইরে বেশ কয়েকজন অন্তঃস্বত্তা মহিলা ও কয়েকটি শিশুকে দেখা যায়।
র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি মিমতানূর রোগী সেজে তার সাথে কথা বলেন এবং এক পর্যায়ে তার ডিগ্রী সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় বিকিরন তার কাছে সার্টিফিকেট ঢাকায় রয়েছে বলে উল্লেখ করে তা আনার জন্য দুই দিন সময় চান।
এ সময় বাইরে অপেক্ষা করা পতেঙ্গা সার্কেল এর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ডাঃ মোহা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি তার চেম্বারে প্রবেশ করেন এবং তার বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নাম্বার জানতে চান। তিনি তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ৯১১১৩ বলে উল্লেখ করলেও বিএমডিসির ওয়েব সাইটে সার্চ করে এ নাম্বারের বিপরীতে কোন ব্যাক্তির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি । এমনকি ওয়েব সাইট থেকে জানা যায় এখন পর্যন্ত এমবিবিএস ডাক্তারদের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ৯০০০০ পর্যন্ত তালিকাবদ্ধ। এ বিষয়ে তিনি গত মাসে তার রেজিস্ট্রেশন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এবং এ জন্যই তা ওয়েব সাইটে নেই বলে ব্যাখ্যা প্রদান করেন। কোথা থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জণ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ভারতের একটি মেডিকেল কলেজের নাম বলে। সে মেডিকেল কলেজের বেশ কিছু ভুয়া প্রিন্ট করা সার্টিফিকেট প্রদর্শন করেন।
প্রেসক্রিপসন প্যাডে তিনি কাস্টমস হাউজের মেডিকেল অফিসার বলে উল্লেখ করলেও কাস্টমস হাউজের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ নামে সেখানে কোন ডাক্তার কাজ করেন না বলে জানানো হয়।
অপদ দিকে যে আয়েশা মেডিকেল ফার্মেসিতে তিনি চেম্বার করতেন, সে ফার্মেসিকে লাইসেন্স দেখাতে বললে তার কোন লাইসেন্স নেই বলে জানান। তার আচরনে সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদে সে এবং বিকিরন বড়–য়া যৌথভাবে ভুয়া চিকিৎসা ব্যবসা করার কাহিনী বেরিয়ে আসে। এসময় ফার্মেসিতে তল্লাসি চালিয়ে চার বস্তা অননুমোদিত ও অবৈধ, ব্যবহার নিষিদ্ধ ঔষধ পাওয়া যায়।

পিবিএ/কেএম/হক

আরও পড়ুন...