পিবিএ,ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের বানিয়াবহু গ্রামের পাট ক্ষেতে হাফেজ সোহেল রানা (২৪) নামে মসজিদের এক মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় জুলিয়া নামে এক নারীকে। তিনি ঝিনাইদহ সদরের বাগুটিয়া গ্রামের রাজুর স্ত্রী। পলাতক রয়েছে জুলিয়ার স্বামী রাজু, তার বন্ধু সুমন ও মামাতো ভাই নাজমুল।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে বানিয়াবহু গ্রামের মাঠের একটি পাট ক্ষেতে এক যুবকের গলাকাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনস্থলে পৌঁছে দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরিবারের লোকজন এসে তার পরিচয় নিশ্চিত করে।
নিহতের মা রেখা বেগম জানান, তার ছেলে কালীগঞ্জের চাপালি গ্রামের মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে পালন করে আসছিলেন। কি কারণে তার সন্তানকে হত্যা করা হয়েছে তা তিনি জানেন না।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মিজানুর রহমান খান পিবিএ’কে জানান, নারী ঘটিত কারণে সোহেল রানাকে হত্যা করা হয়েছে। বিয়ের আগে থেকেই জুলিয়া খাতুনের সাথে নিহত সোহেল রানার দৈহিক সম্পর্ক ছিল। জুলিয়ার বিয়ে হলেও পিছু ছাড়েনি সোহেল রানা। তিনি কোটচাঁদপুর থেকে এসে ওই এলাকায় থাকতেন। নেন মসজিদের মুয়াজ্জিনের চাকরী।
এদিকে জুলিয়া তার সাবেক প্রেমিককে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে তার স্বামী রাজুর সাথে নিয়ে হত্যার ছক আঁটে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক সোহেল রানাকে সোমবার ধরে এনে গলা ও পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করে। এ নিয়ে জুলিয়া আদালতে ৬ পাতার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে হত্যার পুরো ঘটনা বর্ননা করেছেন।
ওসি মিজানুর রহমান খান বলেন, খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ধার করতে পেরে ভাল লাগছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী মসজিদের মুয়াজ্জিন নিহত সোহেল রানা কোটচাঁদপুর উপজেলার সাব্দালপুর ইউনিয়নের লক্ষীকুন্ডু গ্রামের জোয়ারদার পাড়ার বখতিয়ার রহমানের ছেলে।
পিবিএ/এ/জেডআই