নারী টি-টোয়েন্টিতে সেরা বাংলাদেশী রুমানা

পিবিএ, ঢাকা: ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের সেরা রূপটাই দেখিয়েছেন রুমানা আহমেদ। বছরের শেষ দিনটায় এই পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন আইসিসির কাছ থেকে। এই প্রতিবেদকের ফোনেই জানতে পারলেন, আইসিসির বর্ষসেরা নারী টি-টোয়েন্টি দলে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে জায়গা পেয়েছেন রুমানা।
খবরটা পেয়ে শুরুতে একটু ধাতস্থ হতে সময় নিলেন। আইসিসির বর্ষসেরা দলে জায়গা পাওয়ার গুরুত্বটা উপলব্ধি করে বললেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা ব্যাপার। এই মাত্র জানলাম ব্যাপারটা। ২০১৮ সালে অনেক পরিশ্রম করেছি। তার ফলও পেয়েছি। বছরের শেষে এসে এই খবরটা শুনে আমি খুবই আনন্দিত। মনে হচ্ছে, আমার পরিশ্রম বিফলে যায়নি।’
আইসিসি গতকাল একই সঙ্গে মেয়েদের বর্ষসেরা ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছে। টি-টোয়েন্টি দলটায় সুযোগ পেয়েছেন ৫টি দেশের খেলোয়াড়রা। চার জন খেলোয়াড় এখানে আছেন ২০১৮ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া দল থেকে। ওই টুর্নামেন্টেরই ফাইনালিস্ট ভারত থেকে আছেন তিনজন খেলোয়াড়। দুই জন খেলোয়াড় সুযোগ পেয়েছেন নিউজিল্যান্ড থেকে। আর বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড থেকে এই একাদশে একজন করে খেলোয়াড় আছেন।
মেয়েদের কোনো আইসিসির বর্ষসেরা একাদশে বাংলাদেশ থেকে সুযোগ পাওয়া প্রথম ক্রিকেটারই হলেন রুমানা। এই লেগস্পিনার ২০১৮ সালের ২৪টি ম্যাচে ৩০ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এই সময়ে তিনি রান করেছেন ২২৯।
বাংলাদেশ দলে রুমানার ভূমিকা কেবল একজন লেগস্পিনারের নয়। ব্যাটে-বলেই তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করা খেলোয়াড় তিনি। এ বছর মেয়েদের এশিয়া কাপ জয়ের পথে ৬ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালসহ দুই ম্যাচেই হয়েছিলেন ম্যাচসেরা।
এই বছরে নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে গিয়ে রুমানা ওই এশিয়া কাপের কথা বলছিলেন, ‘আমরা দল হিসেবে অনেকদিন ধরেই পরিশ্রম করছি। তার ফল এ বছর পেয়েছি। এ বছর আমার নিজের জন্য খুব ভালো গেছে। আমরা এশিয়া কাপ জিতেছি। সেই সময় ভারতের বিপক্ষে দুটি ম্যাচেই ম্যাচসেরা হয়েছিলাম।’

অবশ্য এই বছরই রুমানারা বাস্তবতার দেখা পেয়েছেন বলে তিনি বলছিলেন। রুমানা বলছিলেন, তারা একদিকে যেমন এশিয়া কাপের মতো সাফল্য পেয়েছেন, তেমনই বিশ্বকাপে গিয়ে নিজেদের দুর্বলতাটা টের পেয়েছেন, ‘আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি এশিয়া কাপে। কিছু দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও ভালো খেলেছি। কিন্তু বিশ্বকাপে গিয়ে আমরা বুঝতে পেরেছি যে, আমরা বড় দলগুলোর চেয়ে কতো পিছিয়ে আছি। ওখানে আমরা বাস্তব জগতের মুখোমুখি হয়েছিলাম।’

তবে রুমানা মনে করেন, অনেক ক্রিকেট খেলতে পারলে তাদের পক্ষে বড় দলগুলোর বিপক্ষেও নিয়মিত ম্যাচ জেতা সম্ভব। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা অনেক অনুশীলন করি। কিন্তু ক্রিকেট কম খেলি। এখন দেখেন বিশ্বকাপের পর থেকে সবগুলো দল খেলার মধ্যে আছে। ওদিকে বিগ ব্যাশ চলছে। কেবল আমাদের খেলোয়াড়রাই খেলার মধ্যে নেই। আমরা হঠাত্ হঠাত্ খেলার সুযোগ পাই। আমরা যদি নিয়মিত খেলার মাঠে থাকতে পারি, তাহলে অবশ্যই এর চেয়ে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।

পিবিএ/ইএইচকে

আরও পড়ুন...