পিবিএ ডেস্কঃ ইঁদুরের গর্তে নির্ভর হয়ে আছে মৌসুমের পিঠা,কেমন এক অদ্ভুত কথা মনে হচ্ছে তাই না?অদ্ভুত মনে হওয়ার কিছুই নেই।এমনিই হচ্ছে কৃষক শ্রেণীর পরিবারে।
আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের মাঝে আড়াল হয়ে আছে কৃষক শ্রেণীর মানুষ,তারা খেটে যাচ্ছে, অথচ তাদের পরিশ্রমি ঘামের নদীতে নৌকা চালাচ্ছে উচ্চশ্রেণির মানুষ,আর ডুবে মরছে অসহায় কৃষকরা।অতিতের দুঃখ মুছে যাওয়ার বিশাল এক আশা নিয়ে সারা বছর খেটে যায় কৃষক।অথচ ফলন শেষে আশানুরূপ কিছুই হয়না।
ফসলের দাম ঢের কমছে।কৃষকদের ঘরে থাকার কথা মৌসুমি পিঠার সুভাস,কিন্তু মৌসুমি পিঠাতো দুরে থাক দু-বেলা ভাত ও জুটেনা তাদের।পেটের দায়ে জমিনে নেমে যাচ্ছে শিশুরাও।গোপালপুর উপজেলার দুই শিশু রতন ও নুহা।মায়ের কাছে মৌসুমি পিঠার আবদার করায় মা বললো মাঠ থেকে ধান খুজে আনতে তবেই পিঠার আগুন জ্বলবে।
যে শিশুদের এই বয়সে বিদ্যালয়ের আঙিনায় ঘুরার কথা,সে শিশুরা পেটের দায়ে ঘুরছে মাঠে মাঠে।খুঁড়ছে ইঁদুরের গর্ত।যেখান থেকে বের হয়ে আসে আমন ও বরো মৌসুমের ধান,যাকে বলা হয় (রাজার ধন)। ক্রমশয় কমে যাচ্ছে শিক্ষার প্রতি তাদের আগ্রহ।পেটের দায়ে তাদের একমাত্র লক্ষ হয়ে আছে ইঁদুরের গর্ত।দারিদ্রতা মোহে ছড়িয়ে পড়ছে অশিক্ষিতদের কলরোল।যে কৃষকদের উপর ভর করে আছে এই দেশ,তাদের মর্যাদা, সুবিধা সর্বদাই নিম্ম হয়ে আছে।কৃষকদের এই দারিদ্রতাই অশিক্ষত সমাজের মুল হোতা।কৃষকের সদ্য মুল্যই এই দেশের কালে ছায়ার অবশান ঘটাতে পারে।পরিশ্রমের সঠিক মুল্য পেলে ইঁদুরের গর্তে তাদের সন্তানদের মৌসুমি পিঠা নির্ভর হতোনা,বিদ্যালয়ের আঙিনায় কাটতো সেই সময়টি।
পিবিএ/এমএস