পিবিএ স্পোর্টস ডেস্ক: সাকিব নিজেকে প্রতিটি ম্যাচেই নিয়ে যান অনন্য এক উচ্চতায়। নতুন এক উচ্চতার সামনে দাঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাট হাতে নেমেছিলেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ম্যাথিউ হেইডেনকে টপকে যাওয়ার হিসেব মিলিয়ে দিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। শুধু তাই নয়, সাকিব টপকে গেছেন নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিলকেও।
ম্যাথিউ হেইডেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৬১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। আর এই ১৫৫ ইনিংসে নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন ৬১৩৩ রান। ৪৩.৮০ ব্যাটিং গড়ে ১০ সেঞ্চুরির পাশাপাশি হেইডেনের আছে ৩৬টি অর্ধশতকও। এই কিংবদন্তির ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১৮১। লাল সবুজের জার্সি গায়ে সাকিব খেলতে নামেন ২০৩তম ওয়ানডে ম্যাচ। আর ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছেন ১৯১তম ইনিংসে। এই ম্যাচের আগে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯০ ইনিংসে সাকিবের নামের পাশে ছিল ৬১০১ রান। গত ম্যাচে সেঞ্চুরির পর টপকে যান নিউজিল্যান্ডের সাবেক দলপতি ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে (৬০৮৩)। সাকিবের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ১৩৪ রান। সাকিবের ব্যাটিং গড় ছিল ৩৭.৪২, সেই সাথে ছিল ৯টি সেঞ্চুরি আর ৪৪টি অর্ধশতক।
এবার সাকিব ছাড়িয়ে গেলেন অজি গ্রেট হেইডেনকে। অস্ট্রেলিয়ান এই গ্রেটকে টপকে যেতে তার দেশকেই বেছে নিয়েছিলেন সাকিব। এই ম্যাচে নিজের ২০৩তম ম্যাচে খেলতে নামেন সাকিব। হেইডেনকে টপকাতে তার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩৩ রান। ৩২ রান করে সাকিব স্পর্শ করেন হেইডেনকে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেন ৪১ বলে ৪১ রান। তাতে সাকিবের মোট রান হয়ে গেল ৬১৪২। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের নামের পাশে জমে রইল ৯টি সেঞ্চুরি আর ৪৪টি হাফসেঞ্চুরি।
সাকিবের উপরে থাকলেন জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেইলর। ১০ সেঞ্চুরিতে এই জিম্বাবুইয়ান ১৮৯ ম্যাচের ১৮৮ ইনিংসে করেছেন ৬২২৭ রান।
এদিকে, বিশ্বকাপের আসরে সাকিব টানা চার আসরে খেলছেন। টানা তৃতীয়বার বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হিসেবে দারুণ কীর্তি গড়ে বিশ্বমঞ্চে খেলতে নামা সাকিবের মোট রান ৯৬৫। বিশ্বকাপে কিউই তারকা মার্টিন গাপটিল করেছেন ৯৪২ রান। ৯১৫ রান করা পাকিস্তানের কিংবদন্তি সাঈদ আনোয়ারকে টপকে যাওয়ার পর এবার সাকিব টপকে গেলেন গাপটিলকে। বিশ্বমঞ্চে গাপটিলের আছে দুটি সেঞ্চুরি আর চারটি ফিফটি। সাকিবের নামের পাশে দুটি সেঞ্চুরি আর সাতটি ফিফটি।
পিবিএ/বাখ