যেসব খাবার ফুসফুস ভালো রাখবে

পিবিএ ডেস্ক: আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ ফুসফুস। বর্তমানে ঘরের বাইরে পা ফেললেই দূষণের কবলে পড়তে হয়। গাড়ির কালো ধোঁয়া, ধুলোবালি ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত করছে আমাদের ফুসফুসকে। আবার যারা প্রায় সারা বছরই ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভোগেন এবং যারা ধূমপান করেন, তাদের ফুসফুসও নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফুসফুস ভালো রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে ও বিশুদ্ধ খাবারে অভ্যস্ত হতে হবে। আমাদের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে এমন কিছু খাবার, যা খেলে ফুসফুস ভালো থাকবে।

জেনে নিন এমন কিছু খাবারের কথা, যেগুলো ফুসফুস ভালো রাখতে সহায়তা করে:

টমেটো :শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে টমেটো। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ টমেটো কোষ ভালো রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া এতে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান। এর মধ্যকার লাইকোপেন শ্বাসযন্ত্রে সুরক্ষা স্তর তৈরি করে। ফলে বাতাসে থাকা দূষণ ও ধূলিকণার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে তা রেহাই দেয়।

গাজর :গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিটা ক্যারোটিন শরীরে প্রবেশ করে ভিটামিন ‘এ’তে রূপান্তরিত হয়। আর এটি ফুসফুস পরিশুদ্ধ রাখতেও সহায়তা করে। ফুসফুস ভালো রাখতে প্রতিদিন গাজরের জুস খেতে পারেন

আপেল : প্রচলিত কথা দিয়েই যদি বলা হয়, তাহলে নিয়মিত আপেল খান আর রোগবালাই থেকে দূরে থাকুন। যুক্তরাজ্যের এক গবেষণায় জানা যায়, সপ্তাহে যারা দুটি থেকে পাঁচটি আপেল খায়, তাদের অ্যাজমা হওয়ার ঝুঁকি ৩২ ভাগ কমে যায়। আপেলের মধ্যে রয়েছে ফ্লেভোনয়েড, যা শ্বাসনালিকে পরিষ্কার রাখে ও ফুসফুস ভালো রাখে।

রসুন : রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। বহু আগে থেকেই বিভিন্ন ভাইরাসজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধে রসুন ব্যবহূত হয়ে আসছে। রসুন অ্যাজমা প্রতিরোধ করে ও ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধেও রাখে ভূমিকা।

অ্যাভোকাডো : অ্যাভোকাডোর মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ফ্রি রেডিক্যালসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। ফুসফুস ভালো রাখতে এ ফলটি খাওয়া যেতেই পারে।

কফি : যারা একেবারেই ক্যাফেইন নেন না তারা জেনে রাখুন, কালো কফি ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে। কারণ কফি পানের পর শ্বাসতন্ত্রের ক্রিয়ার উন্নতি ঘটে। ফুসফুস সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত কফি পান করতে পারেন। তবে ২০০ মিলির বেশি কফি পান না করাই ভালো। তবে যারা একেবারেই কফি পান করতে ইচ্ছুক নন, তারা প্রতিদিন সবুজ চা পান করতে পারেন। সবুজ চায়ে রয়েছে হালকা ক্যাফেইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে।

তুলসী : ঠাণ্ডা-কাশি দূর করতে বহুকাল আগে থেকেই তুলসীর ব্যবহার হয়ে আসছে। দূষণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুসকে রক্ষা করে তুলসীপাতা। রোজ তিন চা চামচ তুলসীপাতার রস খেলে শরীরের শ্বাসযন্ত্রের দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়।

পিবিএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...