পিবিএ ডেস্ক: উনিশ শতকের প্রথম দিকে ব্রিটিশ ভারতের পতৌদি পরিবারের অষ্টম নবাব ইফতিকার আলী খান ভোপালের রাজকন্যাকে বিয়ে করেন। তখন পুরোনো প্রাসাদ ছেড়ে নতুন প্রাসাদ বানানো হয়, যা আয়তনে আগের থেকে অনেকটা বড়। সেই প্রাসাদের বর্তমান মালিক সাইফ আলী খান। নবাব কথাটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অপার বৈভব আর বিলাসবহুল জীবনযাত্রা ও সাতমহলা প্রাসাদের গল্প। তার সবই আছে এই প্রাসাদে।
ইব্রাহিম কোঠি নামেও পরিচিত প্রাসাদটি হরিয়ানা জেলার গুরুগ্রামে অবস্থিত। ভারতীয় মুদ্রায় যার বর্তমান মূল্য ৮০০ কোটি রুপি। বিখ্যাত অস্ট্রিয়ান স্থপতি রবার্ট টর রাসেল ও আউ মল্ট ভন হেইঞ্জের তত্ত্বাবধানে প্রাসাদটি তৈরি হয়।
১০ একর জমির ওপর অবস্থিত ইব্রাহিম কোঠিতে ১৫০টি ঘর রয়েছে। যার মধ্যে সাতটি প্রসাধনী কক্ষ, সাতটি শয়নকক্ষ ও সাতটি বিলিয়ার্ড খেলার জায়গা। চোখ ধাঁধানো প্রাসাদটি যে কোন পাঁচতারা হোটেলকেও সহজে হার মানাবে।
সাইফের বাবা নবাব মনসুর আলী খানের সময় ‘নিমরানা’ হোটেলের মালিক আমান নাথ ও ফ্রান্সিস ওয়াগজিরাগ প্রাসাদটি লিজ নেন। লিজের সময়কাল ছিল ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল। ২০১৪ সালে লিজের মেয়াদ শেষ হলে ছোটে নবাব সাইফ প্রাসাদটিকে পুনর্নির্মাণ করেন।
প্রতি বছর শীতের সময় সাইফ আলী খান স্ত্রী কারিনা কাপুর খান ও পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটান এই প্রাসাদে। বলিউড পরিচালকদের অন্যতম পছন্দের শুটিং লোকেশন ইব্রাহিম কোঠি। মঙ্গল পাণ্ডে, বীর-জারা, মেরে ব্রাদার কি দুলহানের মতো ব্লকব্লাস্টার সিনেমার শুটিং এখানে হয়েছে।
পিবিএ/বিএইচ