পিবিএ,ঢাকা: আজ ১লা জানুয়ারী ২০১৯ সাল। সারাদেশে পালিত হচ্ছে পাঠ্যপুস্তক উৎসব। আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা মহানগরের ২৬টি বিদ্যালয়ের ৭ হাজার শিক্ষার্থী আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে জড়ো হয়েছে। তারা স্কুল ড্রেসের সঙ্গে মাথায় নানা রঙয়ের ক্যাপ পরে হাতে জরির ফিতা নিয়ে আকাশে উড়িয়ে বেড়াচ্ছে। নতুন বই পাওয়ার আনন্দে মাতোয়ারা তারা। স্ব-স্ব স্কুলের শিক্ষকরাও তাদের এ আনন্দে শামিল হয়েছেন।
উৎসব উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ অনুকরণীয়। বিশ্বের কাছে আমরা এখন রোল মডেল। কেউ আমাদের এ অগ্রগতি থামাতে পারবে না। আমরা একসময় বিশ্বে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হব।
সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আজ আমাদের জন্য আনন্দের দিন, একটি ইতিহাস সৃষ্টিকারী দিন। বিনামূল্যে এত সংখ্যক বই বিতরণের এমন উদাহরণ জগতে আর নেই। আমরাই এতে সফল হয়েছি। প্রতিবছর জানুয়ারির ১ তারিখে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেই। ২০১০ সালের পর একবারও এর ব্যত্যয় হয়নি। স্বাধীন দেশ বলে এটা সম্ভব হয়েছে। বাঙালি জাতির হাজার বছরের গৌরব স্বাধীন বাংলাদেশ। আর এর মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে আমরা এগুচ্ছি। আর নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা বাস্তবায়নে নেতৃত্বে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।
আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তোলার নেতৃত্ব দেবে তরুণ প্রজন্ম। এর জন্য আমাদের শিক্ষার গুণগত মানকে বিশ্বমানে পৌঁছাতে হবে। আজকের এ তরুণ প্রজন্মই এ দেশকে বিশ্ব দরবারে উঁচু করে তুলে ধরবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা তরুণ প্রজন্মের জন্য সবকিছু উজাড় করে দেব। আমাদের এ প্রজন্ম কোনো অংশেই বিশ্বের কোনো অংশ থেকে পিছিয়ে নেই। আমাদের সৌভাগ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর একটা যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে পেরেছি। আমরা কাউকে পেছনে ফেলে যাব না, সবাইকে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাব। সব ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। আজকে ছেলে-মেয়ে সমতা আনতে পেরেছি। মাধ্যমিকে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বমানের শিক্ষা দিতে চাই। একই সঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন খাঁটি মানুষ তৈরি করতে চাই। আমররা সমস্ত শ্রম মেধা দিয়ে আমাদের সন্তানদের গড়ে তুলব।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে দেশের ৫০৮টি উপজেলার প্রাথমিক স্তরের ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭টি বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৫১ জন শিক্ষার্থীদের হাতে যথাক্রমে ৩৪ লাখ ২৮ হাজার ১০টি করে আমার বই ও অনুশীলন খাতা এবং ৯ কোটি ৮৮ লাখ ৯৯ হাজার ৮২৪টি বই বিতরণ করা হবে ৷ এ ছাড়া, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আওতাভুক্ত প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ২ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হয়েছে ৷
পিবিএ/ইএইচকে