ট্রাম্প শপিং মলের ড্রেসিং রুমে এক লেখিকাকে শ্লীলতাহানি করেন!

পিবিএ,ডেস্ক: ফের যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে শিরোনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরও একটু দীর্ঘ হল ট্রাম্পের নামে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগের তালিকা। এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনলেন ই জিন ক্যারল নামে নিউইয়র্কের এক লেখিকা।
নিজের লেখা একটি বইয়ে ক্যারলের দাবি, প্রায় দু’দশক আগে একটি শপিং মলের ড্রেসিং রুমে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন ট্রাম্প। ওই বই প্রকাশের পর একটি ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে আবার একবার সেই কাহিনির বর্ণনা দিয়েছেন। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বরং তাঁর সাফ জবাব, নিজের বইয়ের বিক্রি যাতে ভাল হয় সে জন্যই এমন কাজ করেছেন ক্যারল। তাঁর বিরুদ্ধে তোলা ক্যারলের সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে এবং অবান্তর বলেও দাবি করেছেন ট্রাম্প। মহিলাদের স্বার্থরক্ষায় এবং নারী অধিকার নিয়ে মার্কিন পত্র-পত্রিকায় লেখালিখির জন্য জনপ্রিয় ক্যারল। তাই এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প যতই অস্বীকার করুন না কেন, ৭৫ বছর বয়সি লেখিকা ক্যারলের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে আমেরিকাজুড়ে।

কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? ক্যারলের দাবি অনুযায়ী, ঘটনাটি ১৯৯৫ সালের শেষের দিকে বা পরের বছরের শুরুর দিকের। ঘটনার দিন সন্ধেয় ওই শপিং মলে একটি টিভি শোয়ের সঞ্চালনা করছিলেন তিনি। শো শেষে শপিং মল বন্ধ হওয়ার মুখে তিনি ট্রাম্পের কাছে যেতেই ট্রাম্প তাঁকে চিনতে পারেন।

তাঁকে বলেন, “আপনি তো সেই টিভিতে উপদেশ দেওয়া মহিলা।” ক্যারলের দাবি, এক মহিলার জন্য অন্তর্বাস কিনতে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। ক্যারলের কাছে তিনি সাহায্য চান। এরপর মলের একটি দোকানে যান তাঁরা। আর সেখানেই শুরু হয় বিপত্তি। বেশ কয়েকটি অন্তর্বাস বেছে নিয়ে ট্রাম্প নাকি পরতে বলেছিলেন ক্যারলকে। এছাড়াও ক্যারলের অভিযোগ, তাঁকে তাঁর বয়স নিয়েও কটাক্ষ করেন ট্রাম্প।

প্রাথমিকভাবে হেসে গোটা ঘটনা উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন ক্যারল। কিন্তু ওই দোকানের ড্রেসিং রুমের সামনে আসতেই ট্রাম্প তাঁর সঙ্গে চরম অসভ্যতা শুরু করেন বলে দাবি করেছেন লেখিকা। তিনি বলেন, “আচমকাই ও আমায় চুমু খেতে শুরু করে। আমার গোপন অঙ্গে হাত দেয়। নানারকম অশ্লীল ইঙ্গিতও করে।” এমনকী, ট্রাম্প জোর করে তাঁর অন্তর্বাস খোলার চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেছেন ক্যারল। লেখিকা বলেন, “সে সময় শপিং মল বন্ধ হচ্ছিল বলে বেশি লোকজনও ছিল না। সেই সুযোগেই এমন অভব্যতা করেছিলেন ট্রাম্প। কোনওমতে পালিয়ে আসি।”

আরও পড়ুন...